স্বদেশ ডেস্ক: ইউনিভার্সিটি অব সিডনির স্কুল অব ভেটেরিনারি সায়েন্সের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রছাত্রী তারা৷ সংখ্যায় প্রায় ৩০ জন৷ তারা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন৷ একে একে পোশাক খুললেন৷ খুললেন তো খুললেনই৷ শরীরে সুতা বলতে অবশিষ্ট কিছুই থাকলো না৷ একেবারে নগ্ন অবস্থায় নানা রকম অঙ্গভঙ্গিতে দাঁড়ালেন তারা৷ একই সঙ্গে যুবক-যুবতী এমন অবস্থায় দাঁড়াতেই ক্যামেরা ক্লিক ক্লিক শব্দ করে উঠল৷ ব্যাস, বন্দি হয়ে গেলেন ফ্রেমে৷ একটি দুটি নয়, অনেক ছবি৷ এসব ছবি ব্যবহার করা হবে ২০২০ সালের জন্য নতুন ক্যালেন্ডারে৷ তা থেকে যে আয় হবে তা দান করা হবে মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করার সমর্থনে প্রচারণা চালানো দাতব্য সংস্থা ব্লাক ডগ ইন্সটিটিউটে৷ এর আয়োজক লুসি ফুচটার (২৩) বলেন, আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে এমন পোজ দিয়ে ক্যালেন্ডার প্রকাশ একটি রীতিতে পরিণত হয়েছে৷ আমরা শিগগিরই ভেটেরিনারিয়ান হয়ে উঠবো৷ বিজ্ঞানী হয়ে উঠব৷ আমাদেরকে কাজ করতে হবে এমন একটি সমাজে যেখানে জাতীয় পর্যায়ে আত্মহত্যার হার চারগুণ৷
এ বিষয়টি আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছে৷ তাই মানসিক স্বাস্থ্যকে সেবা দেয়ার জন্য আমাদের এই ব্যবস্থা৷ এক্ষেত্রে বøাক ডগ ইন্সটিটিউট হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যারা মানসিক অসুস্থতাকে অনুধাবন, প্রতিরোধ ও চিকিত্সা দেয়ার ক্ষেত্রে আত্মনিবেদিত৷ প্রতি ৫ জন মানুষের মধ্যে একজন মানুষ কোনো না কোনোভাবে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে৷ আমরা আশা করি তাদেরকে সুস্থ করতে চিকিত্সায় আমাদের উদ্যোগ সহায়তা করবে৷ তিনি আরো বলেন, খুব সকালে ক্যামেরার সামনে নগ্ন হয়ে দাঁড়ানো এসব শিক্ষার্থীর ছবি দেখে বা খবর শুনে তাদের সহপাঠীদের স্্নায়ু হয়তো হিম হয়ে আসবে৷ তবে আস্তে আস্তে তা স্বাভাবিক হয়ে আসবে৷ উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় ওই স্কুলটি পশু চিকিত্সার ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানীয়৷ দশ বছর ধরে তারা নগ্ন নারী-পুরুষের ছবি ব্যবহার করে ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে আসছে৷ দাতব্য সংস্থায় এ খাত থেকে তারা এক লাখ অস্ট্রেলিয়ান পাউন্ড দান করতে পেরেছে৷ নতুন ক্যালেন্ডার বিক্রি করা হবে ২৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলারে৷